ইসলাম ও অর্থনৈতিক সাদৃশ্যতা
পর্ব-১

ইসলামী আইনে অর্থনৈতিক মতবাদ মৌলিকভাবে অবস্থা নির্ভর এবং নিয়ন্ত্রন ঐশ্বরিক আদেশনামা দারা নিয়ন্ত্রন করা হয়  যার যথাযথ সারমর্ম ও সুস্পষ্ট বর্ণনা আল-কুরানে বর্ণিত আছে। আর এই মতবাদ গুলার ঐশ্বরিক প্রকৃতি যা স্থির করা এ মর্মে যে, প্রতিটি মুসলমান অত্যাবশ্যকীয় ভাবে মানতে হবে আর মতবাদ গুলার লঙ্ঘন (যেমনটি পবিত্র বস্তুকে অপবিত্রতে রুপান্তর) তার বিশ্বাসের পরিপন্থী হিসেবে গণ্য হবে। নীতি নৈতিক বিবেকই এককের বিশ্বাসের নিয়ন্ত্রন করে। রাষ্ট্রের আইন গুলা বিধি ও বিচারালয় সংক্রান্ত আর ইসলামী অর্থনৈতিক মতবাদ গুলার গুরুতপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে দুটি এক "উত্তরাধিকার সংক্রান্ত এবং যাকাতের আর্থিক নিয়ম সংক্রান্ত পন্থা।

 ইসলামে উত্তরাধিকার সংক্রান্ত পন্থা ঐশ্বরিক (আল কুরান) সামাজিক অর্থনৈতিক সাম্যবস্থা দারা নির্ধারণ করা হয় যাতে সম্পত্তির বণ্টন প্রতিটি মুসলিমের জন্য ন্যায্য ভাবে বন্টিত হয় আর ঐ  প্রতিটি মুসলিম একক মৃত মুসলমানের অব্যবহিত পারিবারিক সদস্য, আর এই সম্পত্তি বণ্টনের প্রসারন সংখ্যালগু দারা বাছাই করা নিরবচ্ছিন্নতার উত্তরাধিকারের  ব্যাপক সম্পদ প্রাপ্তিকে নিবারন করে। উত্তরধিকারের পন্থায় ছেলেরা, মেয়েরা, বাবা, মা, দাদা, দাদি, স্বামী, স্ত্রী, ভাই, বোন, চাচা, চাচার ছেলে মেয়ে, ভাইয়ের ছেলে মেয়ে এবং ছেলের ছেলে মেয়ের অধিকার। আর কতক (ব্যতিক্রম) অবস্থায় দুরাত্মীয় ও উত্তরাধিকার বণ্টনের মাপনির অন্তর্ভুক্ত হবেন। সটীক উত্তরাধিকার বণ্টন এবং মাপনির পন্থা খুব বেশী জটিল বিজড়িত, সাথে সাথে সটীক অবস্থার শর্তে প্রয়োগের বিষয় যাতে পূর্ণ ন্যায্যতা এবং সঙ্গতির বিধান লক্ষ্য করে প্রতিটি এককের কাছে সুন্দর ও সাবলীল ভাবে বন্টিত হবে।

"উত্তরাধিকার বণ্টন"  আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত এমন একটি আদর্শসরুপ ও দৃষ্টান্তমূলক অর্থনৈতিক মতবাদ যা বিশেষ সাতন্ত্রিক আর্থিক শ্রেণী ভেদাভেদ দূর করে সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য এবং সমাজের অনেক বিষয়ে আর্থিক সামঞ্জস্যতা বজায় রাখে।

ইসলামী আইন ব্যবস্থা "উত্তরাধিকার বণ্টনের পন্থায়" কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করেছে কারন এ পন্থার নিয়মাবলি ঐশ্বরিক (আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা প্রদত্ত) এবং বিশুদ্ধ। আর যারা কিনা বিপথে যাওয়ার এবং লঙ্ঘন করার সম্ভাবনা রাখে তাদেরকে কঠোর ভাবে তিরস্কারের মাধ্যমে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

 কোন মুসলিম আইনজ্ঞরাও "এককের মালিকানার বৈধতা " কে উইলের মাধ্যমে বা অন্য কোন ইচ্ছাপত্র দারা কার্যকর করার অনুমতি দিতে পারবেন না যদিও উনাদের মত বা ব্যাখ্যা সুনির্দিষ্ট "উত্তরাধিকার বণ্টনের" ইসলামিক নিয়মের বিপরীত হয়; হয়তবা অনেক সময় দেখা যায় যে একজন আরেক জনের চাইতে কিছু কম সম্পত্তি বণ্টনের মাধ্যমে পেয়েছেন।

 নবী করীম (সঃ) এর উপদেশ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা অনুসারে "আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা প্রতিটি এককের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত অংশ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন আর তাই উত্তরাধিকার বণ্টনের পন্থার বিপরীতে কোন উইল বা ইচ্ছাপত্র রেখে গেলেও তা কার্যকর হবেনা"
আর যদি অবস্থা বিশেষে (আত্মীয় নন বা জাতিবর্গের কেউ নন এমন কারো পক্ষে উইল বা ইচ্ছাপত্র প্রদানে অনুমতি দিয়েছে) কেউ যদি ইচ্ছাপত্র রেখে যান তাহলে অবশ্যই তা তার এককের সম্পদের এক তৃতীয়াংশ হতে হবে।

কোন মুসলমান তার কোন সম্পত্তি " ইসলামিক উত্তরাধিকারের বণ্টনের" নিয়ম অনুসরন করা ছাড়া অন্য কোন উপায়ে তা বণ্টন করতে পারবেন না।

                                              চলবে.............................................।।

                                                  

Comments