Islam and Sovreignty part-1

ইসলাম ও সাধারণ আইনে সার্বভৌম ক্ষমতার ভূমিকা - পর্ব- ১

" সার্বভৌম ক্ষমতা" বই খাতা অনুসারে নব্য আধুনিক একটি ধারনা যা নতুন রাষ্ট্রের সাথে সাথে জন্ম নিয়েছে যা সর্ব প্রথম " JEAN BODIN" ১৫৭৬ সালে বিবেচনার্থে উপস্থাপন করেন আর তিনিই প্রথম
" সার্বভৌম ক্ষমতা মানেই শুধু আইন তৈরি করা নয় বরং ইহা স্বয়ং আইনের ঊর্ধে" এ মতবাদ পেশ করেন।

সার্বভৌমতার অবস্থান বর্তমান পৃথিবীতে অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ কারণ শাসন বা পরিচালনার চূড়ান্ত বক্তব্য বা মন্তব্য ছাড়া মানব জীবনের কোন সিদ্ধান্তই কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রসারিত হবেনা চাই তা একক, সামাজিক বা রাষ্ট্রীয়গত হোক। সার্বভৌম ক্ষমতার ভূমিকা প্রায় প্রতিটি সংবিধানেই বিদ্যমান থাকে। যেমন ঃ-

১। রাজার অধীনে রাজ্যর বেলায় সম্রাট বা রাজাই সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী।
২। গণতন্ত্রে অধিকাংশ সংখ্যাগুরু জনসংখ্যাই সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী।
৩। সমাজতন্ত্রে বা সাম্যবাদে শাসকবর্গের বাচাইকৃত বা সেরা অংশই সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী।
৪। ফ্যাসিবাদে একনায়ক বা উৎপীড়ক শাসকরাই  সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী।
৫।  পরিশেষে ইসলামে " আল্লাহ তায়ালাই" একমাত্র সর্ব সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী।

আর এ থেকে সত্য প্রতিপাদিত হয় যে, প্রতিটি মানুষ তার একক, সামাজিক ও রাষ্ট্রের জন্য যে কোন একটি সার্বভৌম ক্ষমতার পন্থাকে গ্রহণ করতে হবে সমান্তরাল ভাবে কোন সার্বভৌম পন্থাই একে অন্যর সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ না এবং কেউই একসাথে দুটি সার্বভৌম ক্ষমতার পন্থাকে গ্রহণ বা কার্যকর করতে পারবেন না। টিক যেভাবে গণতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ এক সাথে গ্রহণ যোগ্য নয় তেমনি সমাজতন্ত্র, ইসলাম ও রাজতন্ত্রকে একসাথে কার্যকর করা যাবেনা।
আর এই প্রেক্ষিতে বলা যায়-
আল্লাহ তায়ালা আল কুরআনে  সূরা ইউছূফ এর ৪০ নম্বর আয়াতে বলেছেন- "বিচার ও সিদ্ধান্ত একমাত্র আল্লাহর সাথেই নিবৃত এবং অধিষ্টীত"।
এ হিসেবে ইসলামে প্রতিটি মুসলমানদের জন্য  সার্বভৌম ক্ষমতার ধারনা মানেই আল্লাহ তায়ালাই সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী।

 ইসলামে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকার বা ঊর্ধ্বস্থ ক্ষমতা সংক্রান্ত মৌলিক বার্তা হল " আল্লাহ তায়ালাই একক  সার্বভৌম ক্ষমতার  বা ঊর্ধ্বস্থ ক্ষমতার অধিকারী"
 আল্লাহ তায়ালা আল কুরআনে বলেছেন ঃ " জান্নাত ও ব্রহ্মাণ্ডের সব কিছুর সার্বভৌম ক্ষমতা ও শ্রেষ্টতা আল্লাহর সাথেই সম্পৃক্ত"।  ৪২ ঃ ৪৭

 সার্বভৌম ক্ষমতা ও শ্রেষ্টতার ব্যাপারে প্রতিটি নব সৃষ্টসার্বভৌম ক্ষমতার পন্থাই ইসলামী বিশ্বাসের পরিপন্থী ও ভিন্ন।
                                   
                                                                                                 চলবে..........................................।।

Comments