" আইনস্টাইন ও ব্রহ্মাণ্ডের বিচার বুদ্ধিগত বোধগম্যতা "
অধিকাংশ নাস্তিকগণ বিজ্ঞানের আলোতে উদ্ভাসিত বা মানবতাই আসল ধর্ম বলে তাদের নাস্তিকতার সূক্ষ্ম বিচার শক্তির পরিচায়ক ভাবার যে ব্যবসা তার মূলনীতি যদিও বিজ্ঞান বা মানবতার কিছুই তাদের প্রতিভাত ভাবে স্পর্শ করেনা।
(বই খাতা অনুসারে) ব্রহ্মাণ্ড নৈসর্গিক প্রাকৃতিক আইন দারা পরিচালিত হয় যেমন- " Boyle's বা Mariotte's" আইন, নিউটনের ঋতি চলনের আইন এবং তেজ-শক্তি সংরক্ষণের আইন দারা। কিন্তু এই আইন গুলা শুদ্ধ আদত নিয়মনিষ্ঠা প্রণালী প্রকৃতির নয় বরং এ প্রণালী গুলা আদত গানিতিক ভাবে শব্দ বাহুল্য বর্জিত, স্পষ্ট রুপে নির্দিষ্ট, সর্বজনীন ও এক সাথে বাধা। আইনস্টাইন এ বিষয়ে বলেন
"ইহা বিচার শক্তি প্রয়োগযোগ্য পরিগ্রহকারীবা শরীরীরুপ" তিনি বলেন " আমি নাস্তিক নই এবং আমি আমাকে সর্বশ্বরবাদ ও মনে করিনা" আমরা দেখতে পাই ব্রহ্মাণ্ড অবিশ্বাস্য ভাবে সংস্থিত ও উপন্যস্ত এবং তা কোন আইনের নির্দিষ্ট অনুবর্তী বা অনুজীবী (রুপক অর্থে তার প্রতিপালকের আইন দারা পরিচালিত হচ্ছে) আইনস্টাইন ব্রহ্মাণ্ডের যুক্তিসংগত বোধগম্যতাকে অত্যুৎকৃষ্ট প্রভব ও উদ্ভবে সু স্পষ্টভাবে বিশ্বাস করতেন যা তার অনেক শব্দ প্রয়োগে উপস্থাপিত হয়েছে " উপরিক উচ্চতর বিজ্ঞতা" , "অপরিসীম অনন্ত শ্রেয় আত্ম উদ্দিপনা (illimitable superior spirit) , "উচ্চ যুক্তিকারী বা বিচারকারী বল বা শক্তি" এবং " নিগূঢ় ক্ষমতা যা নক্ষত্রপুঁজ বা বিবুধসমাগমকে পরিচালনা করছে"।
তিনি বলেন " প্রত্যেকেই যারা বিজ্ঞানের অনুসৃতিতে বা বিজ্ঞানের সাধনায় গম্ভীরভাবে প্রতিশ্রুত হয়ে ব্যস্ত তারা এক সময় এ মর্মে সু স্পষ্টভাবে - প্রকৃতির আইনের প্রতিভাত তাদের এক অতি বিশেষ ঊর্ধ্বস্থিত সত্তার দিকে প্রণোদিত হন এবং ইহা এমন এক ক্ষমতা যার সামনে তারা নিরহঙ্কার ভাবে অবনমিত ও নম্র ভাবে নত তা উপলব্দি করেন"।
এখন কথা হচ্ছে বিজ্ঞানিক সাধনা কি ব্রহ্মাণ্ডের নিহিত যুক্তি সংগত বোধ গম্যতা সৃষ্টিকর্তার অস্তিতকে প্রমান করছে না? হ্যাঁ অবশ্যই করছে তবে যদি নাস্তিকরা আইনস্টাইন কে বিজ্ঞানী মনে না করেন তাহলে তা ভিন্ন কথা।
আর আল কুরআনে ব্রহ্মাণ্ডের বোধ গম্যতা নিয়ে অনেক আয়াত রয়েছে যেমন ৫১ঃ১০৪, ৫৭ঃ৪৭।
পরিশেষে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যে আল্লাহ সব কাণ্ডজ্ঞানহীন নাস্তিকদের কে হেদায়াত দান করুন কারন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাই হেদায়াত দান কারী, আমীন।
Comments
Post a Comment