Islam and sovreignty part-3

ইসলাম ও সাধারণ আইনে সার্বভৌম ক্ষমতার ভূমিকা - পর্ব ৩

 আন্তর্জাতিক সম্বন্ধস্থাপন ও আন্তর্জাতিক আইনে  জনগণের স্ব  নিরূপণের অধিকার অনুসারে
সার্বভৌমতা কে দুটি দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা যায়, 

১) অভ্যন্তরীণ দৃষ্টিকোন থেকে সার্বভৌমতা- "একটি কর্তৃপক্ষের পরিমণ্ডল ও বৈধ স্বায়ত্তশাসনের পরিচালনার ক্ষমতার অধিকার, আর প্রায়ই বলা হয়ে থাকে সরকারী কার্যালয় বা প্রতিষ্ঠান যাই হোক না কেন ? সার্বভৌমতা জনগণের উপরই অধিষ্ঠিত এবং জনগণই নির্ধারণ করবে যে তারা কিভাবে 
পরিচালিত হবে"।
২)   বহিরঙ্গ বা প্রত্যক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে সার্বভৌমতা- জনগণ সার্বভৌম সত্তা হিসেবে তাদের সমাজে যৌথ ভোগ ও যৌথ অধিকার পাবে এবং জনগণ অন্য সার্বভৌমের জনগণের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয় স্ব অবস্থানে নির্ধারণ করতে পারবে।

এখন প্রশ্ন আসে জনগণ কি সত্যি উপরোক্ত ক্ষমতার অধিকার রাখে ? অবশ্যই না।
আর আইন অনুসারে কার্যকারিতা বিহীন যে কোন কর্ম বা বস্তু ভিত্তিহীন।

ইসলামে সার্বভৌম ও সাধারণ আইনের সার্বভৌমের কতক পার্থক্য - 
১) ইসলামে সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সার্বভৌমের ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহ তায়ালা অন্য দিকে সাধারণ আইনে সার্বভৌমের ক্ষমতার অধিকারী জনগণ।      
বাস্তবিক ভাবে চিন্তা করলে একজন মানুষ অন্য আরেকজন মানুষের সবকিছুর পরিচালক হওয়াটা অযৌক্তিক তবে রাষ্ট্রকে একক এবং সর্ব জন সাধারণকে একক পরিচালক হিসেবে ধরলে তা গ্রহন যোগ্য কিন্তু আম জনতা বা সর্ব সাধারণ শুধু মত প্রকাশের ক্ষমতা রাখে।

২) ইসলামে সার্বভৌমের অধিকার নিয়ে কোন ভিন্ন প্রকার বা ভেদাভেদ নেই কিন্তু সাধারণ আইন অনুসারে সার্বভৌমের অধিকার বা সার্বভৌম নিয়ে প্রকারভেদ ও ভিন্নতা বিদ্যমান ।
আর যে কোন বিষয়েই সাদৃশ্যমূলক ভিন্নতা বা প্রকার আসলেই কার্যকারিতাগত ভেদাভেদ সহ অন্যান্য মত পার্থক্য দেখা দিবেই।

                                                                          চলবে........................

Comments