Islam and sovereignty part-4

ইসলাম ও সাধারণ আইনে সার্বভৌম ক্ষমতার ভূমিকা - পর্ব-৪
  
সার্বভৌম ক্ষমতা সম্পর্কে " WILLOUGHBY" বলেন -" যদিও একজন মানুষ রীতি, প্রচলন ও অভ্যাসে  উপরিক মতে  অন্য আরেকজনের আজ্ঞা পালন বা অনুবর্তিতায় আসে না যদি না এমন একটি মতের বেলায় প্রদত্ত সমাজের অধিকাংশের অংশ আনুগত্য গ্রহন করে"।

এতে বিশেষ ভাবে লক্ষণীয় হয় যে- আনুগত্য গ্রহন করাই সার্বভৌম ক্ষমতার মূল সর্বাগ্রবর্তী বিষয়।

যাই হোক ইসলাম ও সাধারণ আইনে সার্বভৌম ক্ষমতার পার্থক্যর বিষয়ে-

 ৩/ রাষ্ট্রীয় হিসেবে  ইসলামে  "সার্বভৌম" রাষ্ট্রীয় কোন বিষয় না অন্য দিকে সাধারণ আইনে
সার্বভৌমত্বার জন্য রাষ্ট্র হতেই হবে (এর মানে স্বাধীন হলেই সার্বভৌম আর পরাধীন হলে নয়, বাস্তবিক অর্থে খুব কম দেশী আছে যাদের সটীক স্বাধীন বলা যায় আমাদের কথাই ধরুন না)। সাধারণ আইনে যুদ্ধ করছে বা কোন দেশ অন্য আরেকটি দেশকে নিয়ন্ত্রনে আনতে চাচ্ছে ঐ অবস্থায় সেই দেশকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বলা যাবে না এর মানে শক্তি বল প্রয়োগে ক্ষমতার রুপক নামই সার্বভৌমতা যদিও সাধারণ বিবেকবান কোন মানুষ এই সংজ্ঞাকে মেনে নিবেন না যদিও তা এক অর্থে সঙ্ঘাতে জয়ীকে পরাজিতদের উপর সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বানাচ্ছে আর যদিও যুদ্ধ বা আন্দোলনের মাধ্যমে কোন দেশ স্বাধীন হয়েও যায় পরবর্তীতে প্রভাবশালী বা ক্ষমতাধর মানুষই সমাজের অধিকাংশের উপর সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হন হোক তা ফ্যাসিবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র বা রাজতন্ত্রের মতানুসারে।

যদিও মানুষ গড়া সব আইনেই বলা হয়েছে  " সব মানুষই আইনের চোখে সমান" অথচ ঐ মানুষের গড়া আইনই  রাষ্ট্র বা সমাজ নিয়ন্ত্রন বা পরিচালনার প্রশ্ন আসলে "মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে" ।
 যদিও সাধারণ আইনে জনমনে ও জনগণে ভেদাভেদ এবং বৈষম্য আইনানুগ অপরাধ।  

মূলকথা মানুষ মাত্র ভুল হবেই হোক তা ধারনায়, আইন তৈরিতে বা সমাজ নিয়ন্ত্রনে  আর আল্লাহু আকবার না বলে পারছিনা হয়তবা এসব কারনেই ইসলামে সার্বভৌম ক্ষমতা ইসলামে রাষ্ট্রীয় কোন বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। 
                                                          
                                                                                                 চলবে........................
                                                                                                  

Comments