বিশ্বব্যাপী মতাদর্শিক দ্বন্দ্ব ও করণীয়ঃ


বিশ্বব্যাপী মতাদর্শিক দ্বন্দ্ব ও করণীয়ঃ

মতাদর্শিক দ্বন্দ্ব হল মানসিক, মৌখিক বা শারীরিক প্রতিবাদী বা পরিপন্থী মুলক ভাব প্রকাশ যা দলবর্গের প্রতি জীবনের একটি বিশেষ দর্শন বা বিশ্বের ধারণাকে আলাদা বা ভাগ করে যদিও হিংসাত্মক সংঘাতের সাথে জড়িত হবার কারন কি এবং কিভাবে তা প্রত্যেক মতাদর্শে ব্যাখ্যা দেয়া থাকেবিশ্বাস, ধারণা, আবেগ এবং মূল্যবোধের ভাগীকৃত পন্থা যা নির্দিষ্ট মতাদর্শিক গোষ্ঠীকে যা বৈরিতার লক্ষ্যমাত্রা, আগ্রাসনের বৈধতা এবং সমন্বিত কর্ম সক্ষমতার সম্মেলিত জ্ঞানের ধারণা বা পরিচয় প্রদান করে। কিন্তু মতাদর্শের অবশেষ অধিকাংশ সময় মতাদর্শিক গোষ্ঠীর কাছে অধ্যাহৃত উহ্য জ্ঞানপর্ব হিসেবেই থেকে যায়।   
অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক বিজ্ঞানে প্রগতিশীল যুক্তিসঙ্গত-পছন্দ এবং সাম্যবাদী আদর্শিক নকশায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বস্তুগত শর্তের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘটিত হয় যা সাধারণ ভাবে আদর্শিক জ্ঞান বহনকারীদের দক্ষতা সহকারে ব্যবহারের উদ্যমশীলতা ব্যতি রেখে মতবিরোধ, সঙ্ঘাত এবং  বিবাদের নীতির  দিকে  অবরুদ্ধ করে ফেলে আমাদের দেশও সে ভয়াল থাবার ব্যতিক্রম না। এটা বিরল যে, মতাদর্শিক গোষ্ঠী তারা তাদের ধারনা গুলির গুরুত্বকে স্পষ্ট ভাবে অস্বীকার করে তার প্রেক্ষাপটেই হয়তবা মুক্তমনাদের উদ্ভব পাশাপাশি গণতান্ত্রিক রাজনীতির ক্ষয়কর অবস্থায়ও নৈতিক দ্বন্দ্ব ব্যাপক অথচ নৈতিক দৃঢ় বিশ্বাস থেকে আসা আদর্শ সম্পর্কে অতিশয় কম লোকই পরিজ্ঞাতভাবে জ্ঞানী। যদিও মানসিকভাবে সংশয়পূর্ণ প্রাসঙ্গিক দৃষ্টিভঙ্গী স্বতন্ত্রভাবে জড়িত রাজনৈতিক আচরণ এবং অনুমানের পূর্বাভাসে দলীয় অথবা শাসনের ক্ষমতা বা প্রয়োগের ব্যাখ্যা  সাতন্ত্রিক আকারেই দিতে পারে।

স্পষ্টতই মানুষ যে বিষয়ে দৃঢ় মনে বিশ্বাস, আকাঙ্ক্ষা এবং আবেগের সাথে সাধারণ ভাবে বা বোধ গম্যতার দিক থেকে স্পষ্টতর থাকে তার সততা বা ন্যায্যতা প্রতিপাদন করার জন্য অধিকাংশ মতাদর্শী তাদের আদর্শিক লড়াইতে তার প্রতিফলন ঘটায়। পৃথিবীব্যাপীতে অস্তিত্বশীল প্রতিটি মতাদর্শের  নির্দেশের নীতিমালা তাদের আদর্শিক নীতিমালার ব্যাখ্যা কিভাবে হবে তা বলা থাকে হোক তা আক্ষরিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ন্ত্রিত কঠোর নিয়মানুবর্তিতাপদ্ধতি বা উদ্দেশ্যমূলক পদ্ধতির দ্বারা পরিচালিত। যদিও আদর্শিক দন্ধের অনেক কারন গুলা ভাবগত ভাবে খুবই সংক্ষিপ্তসার এবং  প্রায়োগিক পরিচালনায় জটিল। তাই আদর্শিক দন্ধ দূর করনে সর্বাবস্থায় প্রত্যেকটি আদর্শিক ধারণাকে পুনর্বিবেচনা করার উপায় সন্ধান করা সাথে সাথে  মতাদর্শিক গোষ্ঠীর পক্ষীয় বা বিপক্ষীয় নিন্দা আদর্শের জন্য ইতিবাচক ও নেতিবাচক ফলাফল রয়েছে যা সামাজিক সমন্বয় সৃষ্টি ও বিকাশের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। সাংস্কৃতিক পার্থক্যর ভিত্তিতে একে অপরকে অপমান করা থেকে বিরত থাকা, প্রতিটি আদর্শিক নীতিমালার ব্যাখ্যাকারী গন যেমন আলিম-উলামা, সন্ন্যাসী ও ধর্মযাজক দের উচিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক  ক্রিয়াকলাপ এবং নেতিবাচক ফলাফল উভয় চিত্রিত উদাহরণ ব্যবহার করে অনুগামীদের জন্য তা সহজতর করা, বাস্তবিক ও আন্তরিক উদাহরন দিয়ে আন্তঃসাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিভিত্তিক ভুল বোঝাবুঝি দূর করে ইতিবাচক ফলাফল দেয়া, সংমিশ্রিত সংস্কৃতিতে বৈচিত্র্যহীন হ্রাসকারী হিসেবে নিজেকে আত্ম প্রকাশ না করানো কারন পৃথিবীর কোন আদর্শই হত্যা বা বোধ গম্যতার বার্তা বহন ছাড়া আদর্শিক  মর্মঘাত  অনিষ্টতা কে বিধিসঙ্গত ভাবে প্রয়োগসাধ্য বলে গণ্য করেনা।


Comments