সবাই যা নিয়ে চিন্তা করে সে চিন্তায় মগ্ন না থাকার চিন্তাভাবনাকে মূলত সমাজের উদ্ভাবনী চিন্তা শক্তির প্রথম শর্ত বলা হয়ে থাকে।
অথচ প্রথম শর্ত পালন না করা সত্ত্বেও আমাদের সমাজে ঐ শ্রেনীর মানুষগন "সমাজ পরিবর্তনশীল বা সমাজ সংস্কারক" নাম বহন করে সমাজ উন্নয়নে মগ্ন আছেন।
আর এই পথযাত্রী দের কারনেই বড় বড় সামাজিক বিষয়াদি ছোট আর ছোট ছোট সামাজিক বিষয়াদি বড় বলে পরিগণিত হয়।
যার ফলশ্রুতিতে সমাজ পরিবর্তনশীল গত ধারনা একপ্রকারের কিম্ভুতকিমাকার ছবি হিসেবে আমরা সাধারণের সামনে প্রবর্তিত হয়।এজন্যই আমার মত অধিকাংশ মানুষকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় যে, আমাদের সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার ধারণা কি?
আমাদের অধিকাংশের উওর হবে, আমাদের সমাজে প্রতিদিন নতুন কাহিনী, কি ছেড়ে কি বলব। অথচ সাধারণ দৃষ্টিতে এই উওর প্রশ্নের জবাবের সাথে মিল না থাকলেও সমাজ পরিবর্তনশীল ও সংস্কার কারীদের জন্য ইহা দিক নির্দেশনা মুলক।
তাই আমাদের সমাজের ওয়াকিবহাল জনগোষ্ঠীর উচিত সামাজিক সমস্যা গুলোকে সম্প্রসারণের মাধ্যমে জাতীয় সংপত্তিতে পরিণত বা বিস্তারণ না করে অনতিকালপরবর্তী ও অনতিকালমধ্যে কার্যোপযোগী পন্থায় চিরস্থায়ী সমাজ সংস্কারে সহযোগিতা করা।
আর আমি, আপনি এবং আমরা সাধারণ মানুষের মনোগত দৃঢ়প্রতিষ্টিত পরিবর্তন আনা উচিত এই মর্মে যে, সমালোচনা মানেই অসম্মান নয়, সমালোচনা মানেই বিরোধী অবস্থান নিতে হবে তা কিন্তু নয় এবং সমালোচনা কেউ করলে তাকে নিয়ে সমালোচনা করতে হবে তা অবশ্যকরণীয় এমন নয়।
বরং আমাদের প্রথমেই চিন্তা করা উচিত, সমাজ পরিবর্তনশীল কাঠামোতে সম্মুখে আসা সমালোচনা প্রাথমিক শর্ত পালন করেছে কিনা? তাই সমালোচনা গ্রহণ করি পরিবর্তনের পক্ষে অন্যয় অনুভূতির সৃষ্টি পক্ষে নয়।
Comments
Post a Comment